Monday, December 17, 2018

বেবী সাউ- একটি প্রেমের দস্তান




ওই যে দেখছ দলমার সবুজ পাহাড় আর একটি ঝিরিঝিরি নদী। ঠিক ওখান টুকু পেরিয়ে পাবে একটা বিশাল ফাঁকা মাঠ। যেই না মাঠ পেরোবে-- দেখবে ইয়া বড় একটি দুধসাদা রঙের আকাশ। আর সেই আকাশের নীচে কেমন খুশি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট তরুণী গ্রাম। সেখানে আছে একটি সুন্দর মিষ্টি মেয়ে। তার নাম রূপকথা। 
  গ্রামটি জানে না ঠিক গ্রামটি কোন দেশে আছে। গ্রামের সামনে একটা নদী আর পিছনে আর একটা। নদীটা ঠিক কোথা থেকে এসেছে এই সব ভাবতে ভাবতে গ্রামের মানুষের দিন কেটে যায়। নদীটা দিয়ে যে জল বয়ে গেছে তার রঙ তুঁতে নীল। কিন্তু গ্রামের মানুষ যখন সেই নদীর জল হাতে তুলে নেয়, দেখে কী স্বচ্ছ। তারা সেই দুই নদী পেরিয়ে কখনওই কোথাও যায় না। 
  রূপকথা অবশ্য যেতে চায়। তার চোখের সামনে খেলা করে দূরের নীল পাহাড়। সেখানে রাত্রিবেলা আলো জ্বলে। আর দিনের বেলা পাহাড়ের সবুজ জঙ্গলের মধ্য থেকে শোনা যায় কত না জানা সব শব্দ। রূপকথা ভাবে আর ভাবে... ভাবে আর হারিয়ে যায় নিজের মনে। অথচ, বনে কোন কোন জন্তু থাকে তা কেউ জানে না। কেউ বলে হাতি থাকে, কেউ বলে সিংহ, আবার কেউ বলে হুড়ুমতুম্বা। হুড়ুমতুম্বা ঠিক কোন জন্তু তা কেউ জানে না। শুধু রূপকথা যখন দুধ খেতে চায় না,  তার মা বড় বড় চোখ করে সেই গল্প বলে। হুড়ুমতুম্বার গল্প। তবে গ্রামের এক বুড়ো সেদিন বলছিল হুড়ুমতুম্বার কথা। তার মুখ নাকি প্লাটিপাসের মতো। কিন্তু মুখের ভিতরে নাকি কুমীরের মতো দাঁত। তার চেহারা নাকি গণ্ডারের মতো। কিন্তু গণ্ডার বা হাতির চেয়ে সে নাকি প্রবল বেগে দৌড়ায়। একবার সে যদি তাড়া করে চিতাবাঘকেও খপ করে খেয়ে ফেলবে। তবে হুড়ুমতুম্বা বেশি লোকালয়ে আসে না। শুধু যখন প্রবল অরাজকতা তৈরি হয়, মানুষ খারাপ কাজ করে তখন ঝাঁপিয়ে পড়ে। খপ খপ করে গিলে খেয়ে নেয় সকলকে। একবার দূরের নীল পাহাড়ে কারা যেন গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল--- পরদিন পাশের শহর থেকে শুধু শোনা গিয়েছিল হুড়ুমতুম্বার পায়ের শব্দ। বলতে তো ভুলেই গেছি, রূপকথা জানে হুড়ুমতুম্বার আকৃতি এই দলমা পাহাড়ের মতো।

রূপকথার গ্রামের লোক তাই নিশ্চিন্তে আছে। জানে, কোথাও না গেলে, কিছু জানতে না চাইলে, কোনও খারাপ কাজ না করলে সেই গ্রামের কোনও অনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু রূপকথার তাতে মন ভরে না, তাকে জানতেই হবে দূরের ওই নীল পাহাড় আসলে কোথায় আর তা পেরিয়ে গেলেই বা কোথায় যাওয়া যায়। রূপকথার সমস্যাই হল, সে সবকিছু জানতে চায়। যেমন ওই যে হলুদ পাখিটা ভোর হলেই ডাকতে ডাকতে উড়ে যায় দলমার দিকে। বা ওই নীল পাহাড়ের দিকে। তার চোখদুটির প্রতি রূপকথার খুব হিংসে হয়। কত কিছু সে দেখে, উপর থেকে, নিরাপদে। অথচ কেউ তাকে ছুঁতেই পারে না। নীচে তার নজরে পড়ে হয়ত অভিমানী গ্রাম, উদাসীন নদী, ঘাটে বাঁধা একাকী নৌকো, ব্যস্ত মাঝি, অপেক্ষারত যাত্রী, বেসামাল বাজার, লোভী ব্যবসায়ী, মাছি তাড়ানো ছোট দোকান, দরদামের আকাশ। অথবা হয়ত চোখে পড়ে কোনও মাটির দাওয়ায় বসে থাকা সদ্য কিশোরী কাউকে। সে হয়ত জানে না কার জন্য তার মন এত খারাপ। অথবা তার চোখে পড়ে হয়ত কাঠুরে হাত কীভাবে গাছের গায়ে এসে পড়ছে। কত কিছুই না চোখে পড়ে। হয়ত সে নীল পাহাড়ের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় হুড়ুমতুম্বার সঙ্গে একবার না একবার দেখা করে আসে। হয়ত তাদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়।



কিন্তু রূপকথা কোথাও যেতে পারে না। গ্রামের মানুষ বারণ করে। তার মা- বাবা তাকে চোখে চোখে রাখে। তারা রূপকথাকে বোঝায়, আমাদের এসব জানতে নেই। আমাদের পিছনে তুঁত আঁচলের নদী, সামনে নীল আঁচলের পাহাড়। ব্যাস এই আমাদের দুনিয়া। আমাদের কোথাও যেতে নেই। এত জেনে করব কী আমরা! এত জানলেই আমাদের গ্রামের মধ্যে আগুন জ্বলবে। তখন হুড়ুমতুম্বা এসে সকলকে খেয়ে নেবে। এই গ্রাম ধ্বংস করে দেবে। তাই বেশি জানতে নেই। এমনিতেই জানো না, হুড়ুমতুম্বা খুব রেগে আছে।

-কী করে জানলে সে রেগে আছে?

-শুনতে পাও না তার হুংকার? কেমন যেন গর্জে গর্জে ওঠে?

- তোমরা কী করে জানছ সে গর্জন করছে?

-তাহলে সারা রাত সারা দুপুর এত আওয়াজ কেন?

- তোমরা তো নদী পেরিয়ে কোথাও যাওনি।

- এই যে তুমি ভাবছ নদী পেরিয়ে যাওয়ার কথা, এতেই হুড়ুমতুম্বা রেগে আছে। তুমি আর এসব ভেব না, হুড়ুমতুম্বা সব নজর রাখে। সব পড়তে পারে। এমনকী মনের ভাষাও।

 রূপকথা মানতে পারে না। তবে এও ঠিক কদিন ধরেই হুড়ুমতুম্বা কদিন ধরে গর্জন করছে। কিন্তু রূপকথার মনে হয় না সে ডাক গর্জন। তার মনে হয় হুড়ুমতুম্বা কাকে যেন ডাকছে। যেন সে খুব একা। তাহলে তো তাকে জিজ্ঞেস করা দরকার সে কাকে ডাকছে। কিন্তু তার কাছে যদি কেউ না যায় তবে কী করে জানবে যে হুড়ুমতুম্বা কাকে চাইছে। 

এই সব ভেবে, রূপকথা একদিন রাতে বেরোবে বলে ঠিক করল।

গ্রামের সবাই যখন গভীর ঘুমে, তখন সে তার প্রিয় পাখি পিউপিউকে ডাকল। সে বলল-- যাবি? তুই তো রাতে দেখতে পাস। আমাকে বলে দিবি। পিউপিউ বলল- যাবি? চল। কিন্তু গ্রামের লোকে জানতে পারলে? 

- আগে চল তো। গ্রাম জাগার আগে আমরা ফিরে আসবো।  

-কিন্তু কোথায় যাচ্ছি আমরা?

-হুড়ুমতুম্বার কাছে

- সে কী! আমাদের মেরে ফেললে?

- দেখা যাবে। তোর তো ডানা আছে। তুই উড়ে গ্রামে এসে খবর দিয়ে দিস। আমি তো যাবই। 

সেই মুহূর্তেই দূরে শোনা গেল হুড়ুমতুম্বার গর্জন। কেমন যেন মনকেমনের। আর রূপকথার মনে হল এটি কান্নার সুর, কষ্টের। পিউপিউ-র ডানায় চেপে বসল সে।
 শুরু হল তাদের পথে চলা। রাতের অন্ধকারের এ গ্রাম সে গ্রাম পেরিয়ে, এ নদী সে নদী পেরিয়ে একটার পর একটা পাহাড় ডিঙিয়ে সে কী পথ চলা! মাঝে মাঝে তারা রাস্তা ভুলে যায়। মাঝে মাঝে রূপকথার মন খারাপ হয় মায়ের জন্য, বাবার জন্য। রূপকথা নদীকে বলে তার প্রিয় ছবির খাতার কথা। হঠাৎ আর সেই কান্না বা গর্জনের শব্দ শোনা যায় না। তখন রূপকথাকে রাস্তায় দাঁড়াতে বলে পিউপিউ আকাশে উঠে যায়, সব সরেজমিনে দেখে, আবার নেমে এসে রাস্তার হদিশ দেয়। আরো একটা শব্দ তাদের পথ দেখায়। হুড়ুমতুম্বার গর্জন।

এই ভাবে সাতঘন্টা পথ চলার পর রূপকথা আর পিউপিউ এসে পৌঁছল ডুবডুব হ্রদের ধারে। এই ডুবডুব হ্রদের পাশ দিয়েই শুরু হয়ে গেছে নীল পাহাড়ের দেহ। অবশ্য পাহাড়টা আর নীল নেই। সবুজ ঘন জঙ্গলে ভরা। হ্রদের ধারে একটি ছোট্ট ডিঙি নৌকো। সেটাতে চড়ে পিউপিউ আর রূপকথা এসে পৌঁছল পাহাড়ের ধারে। সেখানে গার্ড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা বাঘ।

- কোথায় যাবে?

- হুড়ুমতুম্বার কাছে।

-তোমরা কে যে যাওয়ার সাহস দেখাচ্ছ?

- আমি রূপকথা, এ পিউপিউ। আমার বন্ধু।

-উনি একটা গুহার মধ্যে আছেন। গুহাটি ভীষণ বড়। তাঁর মনে বড় কষ্ট। 

- কষ্ট কেন?

- তিনি একা। তিনি নিঃসঙ্গ। তাঁর কথা বলার লোক নেই। তাঁর গল্প শোনার লোক নেই। সবাই তাঁকে ভয় পায়। তাই

-কিন্তু আমরা যাব। আমরা গল্প করবো। আমি ডানাওয়ালা পরীর গল্প জানি। হারিয়ে যাওয়া পথের গল্প জানি। পিউপিউ জানে রামধনুর রঙ। 

-ভয় করে না?

-কীসের ভয়! একবার পথ ছেড়েই দেখো না।

 পাহাড়ী জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলল রূপকথা আর পিউপিউ। সে কী পিচ্ছল রাস্তা। এই সব রাস্তায় কোনদিন মানুষের পা পড়েনি। এদিকে ওদিকে এলোমেলো পড়ে আছে অজস্র পাতা। শুকনো পাতা ভিজে পাতা, নবীন পাতা মরা পাতা পড়ে থাকা ফল সব মিলিয়ে রাস্তা বেশ কঠিন। আর ক্রমশ চড়াইয়ে উঠে গেছে তো গেছেই। গর্জনের আওয়াজ আরো তীব্র হচ্ছে। যেতে যেতে তাদের দেখা হল অলস ভালুক, ছটফটে হরিণ, কৌতূহলী বেবুন, ঝগড়াটে বাঁদর, ঘুমন্ত হাতি, বিরক্ত টেরোড্যাকটিল, গায়ক কোকিল, ভীত সজারু, নির্লজ্জ খরগোস, নেশার্ত অজগর আর পর্বতারোহী কাঠবেড়ালির সঙ্গে। প্রত্যেকের এক বক্তব্য। যেও না। হুড়ুমতুম্বা খেয়ে ফেলবে। কিন্তু রূপকথা সে সব শোনার পাত্রী নয়। সে যাবেই। তাকে পৌঁছাতেই হবে সেই একাকী হুড়ুমতুম্বার কাছে।


গুহার কাছাকাছি এসে রূপকথা এবার ফিরে তাকাল পিউপিউয়ের দিকে।

-পিউপিউ, তুই এবার এখানে থাক। আমার কিছু হলে গ্রামে খবর দিবি।

-তুই কী বলছিস, এতদিন একসাথে এলাম, এখন তোকে ফেলে চলে যাব? হচ্ছে না। আমিও যাব। চল।


পিউপিউ ফিরে গেল না। সেদিন রাতে গুহার সামনে রাত কাটাল রূপকথা আর পিউপিউ। মাঝেমাঝেই শোনা যাচ্ছে গর্জন। কিন্তু এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সে গর্জন কান্নার। 

 সকাল হল। আকাশ বেশ ফুটফুটে। একটু একটু করে রূপকথা প্রবেশ করল গুহার ভিতর। কী বড় গুহা! ছাদ দেখা যাচ্ছে না। এত বড় কালো গুহা কখনও দেখেনি রূপকথা আগে। পিউপিউও অবাক। অনেকটা দূর যাওয়ার পর গর্জন থেমে গেছে বলে মনে হল তাদের। আরে, গর্জন শোনা যাচ্ছে না কেন? তাহলে কী ওরা পথ ভুল করল?

ভাবতে না ভাবতেই ঘাড়ের কাছে একটা গরম নিঃশ্বাস।

হুড়ুমতুম্বা!


তাহলে এই সেই হুড়ুমতুম্বা। যেমন বর্ণ্না শুনেছিল, ঠিক তাই। কিন্তু চোখদুটি আশ্চর্য সুন্দর। যেন করুণ হয়ে আছে।

- তোমরা ?

- আমি রূপকথা আর এ পিউপিউ।

- জানি। তোমরা বাবুই গ্রাম থেকে এসেছ। আমার কাছে কেন? আমি যদি খেয়ে নিই?

- আমরা আপনার গর্জন শুনে ভেবেছিলাম আপনি খুব দুঃখে আছেন। তাই। আপনি তো এখানকার রাজা। সবাই আপনাকে সমীহ করে। আপনার মন খারাপ কেন? আপনার বুঝি পিউপিউ নেই? 

- আর তাই তুমি নিয়মের তোয়াক্কা না করে সীমানা ছাড়িয়ে চলে এলে? এখন যদি আমি তছনছ করে দিই তোমাদের গ্রাম?

- আমাদের দয়া করুন। আমাকে যা খুশি করুন। কিন্তু পিউপিউ আর আর গ্রামের কারো কোনও দোষ নেই। ওদের ছেড়ে দিন।


হুড়ুমতুম্বা একবার পাক খেল। তার পর বসে আবার শুরু করল কান ফাটানো গর্জন।

তার পর তাদের দিকে তাকিয়ে বলল- কী করে বুঝলে আমার মন খারাপ? সত্যি আমার মন খারাপ। আমার সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসে না। সবাই আমাকে ভয় পায়। আমাকে কেউ ভালোবাসে না। ভক্তি করে। আমার থেকে দূরে থাকে। কিন্তু আমি যা বলি মেনে চলে। কিন্তু আমার কথা শোনে না। আমি একাই থাকি। আমি আর পারছি না রূপকথা। আমার কথা কেউ ভাবে না যে।


-তুমি যে সকলকে ভয় দেখাও। চল, আমার সঙ্গে যাবে আমাদের নীল নদীর ধারে? সেখানে একটা বড় বাড়ি তৈরি করে দেব। তোমাকে কেউ ভয় পাবে না। আমাদেরকেও নদীর সীমানার মধ্যে থাকতে হবে না। সকলে মিলে একসঙ্গে থাকব?


- না সে হয় না। আমি হুড়ুমতুম্বা। আমি যেতে পারি না। তাহলে আমাদের এই নীল পাহাড় সব তছনছ হয়ে যাবে। দাবানল আসবে। আমি আছি বলে দাবানল আসতে পারছে না।

- তুমি একবার পা রেখে দেখ নিজের বাইরে। একবার। 

- না। আজ রাতে তোমরা ফিরে যেও। নাহলে তোমাদের খেয়ে নেব আমি।


গুহার আরও ভিতরে ঢুকে গেল হুড়ুমতুম্বা।


রূপকথা আর পিউপিউ কীই বা করে! এবার ফিরে যেতে হবে। কিন্তু গ্রামের লোকেরা কি তাদের মেনে নেবে?


রাতের গভীরে রূপকথা আর পিউপিউ পা বাড়াল। পাহাড় ছাড়িয়ে পা রাখল আবার জঙ্গলে। এমন সময় গর্জন শূনে দেখে পিছনে হুড়ুমতুম্বা। নিঃশব্দে এসে দাঁড়িয়েছে।


- যাওয়াই স্থির করলাম। এস। আমার পিঠে এসে বস। আর অত পথ হাঁটতে হবে না।


রূপকথা, পিউপিউকে পিঠে নিয়ে এক লাফে হুড়ুমতুম্বা পৌঁছে গেল নীল নদীর তিরে।


এদিকে হুড়ুমতুম্বার পায়ের আওয়াজে সকলের ঘুম ভেঙে গেছে গ্রামের। সকলে শিহরিত। সকলে এসে প্রার্থনা করছে যেন তাদের না মারা হয়। শাপ শাপান্ত করছে রূপকথার। সকাল হচ্ছে।


হুড়ুমতুম্বা গর্জন করে বলল, ওদের কিচ্ছু বোল না। ওরা মুক্ত। তোমরাও মুক্ত। এই নীল নদীর সীমানা ছাড়িয়ে এবার তোমরা যেতে পারো যেখানে খুশি। কিচ্ছু হবে না। 


তার পর রূপকথার দিকে তাকিয়ে বলল- আমি ফিরে যাই। মাঝে মাঝে তোমার সঙ্গে দেখা করে যাব। আমাকে ফিরতে হবে। কারণ আমি হুড়ুমতুম্বা। সব ফেলে এলে, দাবানল চলে আসবে। ফেলে আসতে পারব না। তবে খুব মন খারাপ হলে আমি আবার আসব। তোমার সঙ্গে গল্প করে যাব। তুমিও এস। আমি তোমাকে নিয়ে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াব। উড়ে বেড়াব।
 সেই থেকে রূপকথা আর হুড়ুমতুম্বা সারা পৃথিবী চষে বেড়ায়। শুধু একসঙ্গে থাকতে পারে না কোথাও। কেননা, হুড়ুমতুম্বা পাহারা দেয় দাবানল, আর রূপকথা আগলে রাখে গ্রামের মানুষের স্বপ্ন... তারপর... তারপর  

1 comment:

এক ঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে