জ্যোৎস্না এখনো আসে
যতদিন কাছে ছিলে আঙুলে ছুঁয়েছি অভিশাপ-
তখন স্বর্গ ছিল মনিহারী দোকানের মতো।
কতদিন স্পর্শ পেয়েছি,
প্রিয় দেবতার নাম ভুলে গেছি কতদিন।
সেই ভুলে-যাওয়া
অভিশাপ হয়ে লেগে আছে।
তোমার শরীরে জ্যোৎস্নার গন্ধ পেয়েছি
আর চাঁদ খুঁজে অন্ধ হয়েছি এক রাতে...
অথচ
নতুন পুরুষ নিলে তুমি,
ঝকঝকে নতুন ঠিকানা...
জ্যোৎস্না এখনো আসে -বিছানায়
তোমার গন্ধ তাতে তিক্ত বমির মতো লেগে আছে।
কবিতা ও কার্তিকের মাঠ
১।
গানকে যে বন্দী করতে জানে তার কাছে দুঃখ হেরে যায়
সুরের স্পর্শ লেগে কান্নাও শিশিরের রাত
ধুয়ে নেমে আসে
তাতে কোন আক্ষেপ নেই
এই হেমন্তের শীতে
জলের উপরে ঘন সর পড়ে থাকে
আমাদের যৌবনের গানে কত রুক্ষতা দূর হয়ে যায়
মোমের আলোয় জ্বলে ওঠে কবিতা ও কার্তিকের মাঠ।
২।
শোন, হিরণ্যগর্ভজাত ধান
এই মুগ্ধতার দিনগুলি আমি তোমাকেই দিতে চাই
রোদ-মাখা মাঠ শুয়ে আছে
তাকে আবার জন্ম দেবার আয়োজন করতে হবে
বুকের শিরা কেটে রক্ত দিতে হবে সন্তানের মুখে....
এই বোধ বড় প্রবলভাবে আমাদের স্নায়ু ছুঁতে চায়
শোন, হিরণ্যগর্ভজাত ধান
আমার মুগ্ধতা কেবল তোমাকেই দিতে চাই...
নিতে চাও? --
এসো।
৩।
কেমন হেমন্ত মেখে আছে সারা মাঠ
মেঘের যোনি চুঁইয়ে নেমে আসছে ঝাপসা ও স্বচ্ছ শিশির
কোলাহল এ মুহূর্তে ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে
নদী পেরোতে যায়
যদি ধানের স্তনের মুখে একফোটা দুধ লেগে থাকে
তাকে তুলে নিই
তার অমৃতসম মেধা আমাকে তৃপ্ত করুক
মুঠোভর্তি অমরত্ম মাখিয়ে দিক নশ্বর শরীরে আমার।
No comments:
Post a Comment