Monday, December 17, 2018

কবিতা সৌমনা দাশগুপ্ত





প্রেমের কবিতা

কথা তো অনুপান মাত্র
জিভ দাও নির্ঝর প্রদেশে
এ তক্র গোখুরার বিষ জর্জরিত 
তবে সমস্ত সলিচ্যুড ভেঙে নীথর বাদামের থেকে দানাটুকু তুলে নেওয়াএই যে ছলনা লেখা হলঅথবা কোনো একদিন লেখা হবে ভেবে পাইনের ডালে ডালে আচমকা রোদ ঢেলে দেওয়াআদতে শিমূল ছিলঘোষণায় এইভাবে রঙ দিয়ে তুনে হাওয়াওমে ভাং মিলায়া কিংবা প্রেমের হোলিস্টিক ধারণায় ও আমার রং মিলান্তি খেলার মাঝখানে সে এক পাথরের মুখচূড়ান্ত প্রফেট যেন বাসনার সরটুকু মুছে ফেলে আগুনে বসেছেআর পাথর ফোটার শব্দআর পাথর ফোটানোর শব্দে লেখা হচ্ছে সম্মোহনের কিছু মিথ্যে মিথ্যে ছবি

আট ফুট বাই আট ফুটের
এই চোরকুঠুরিতে শীতকালেও
হাওয়া চালিয়ে দিতে হয় দিগন্ত
আর নিঃশ্বাস নেওয়ার আগে ও পরে একটা করে হাইফেন বসিয়ে আমি সিঁড়ির কথা ভাবতে থাকিপতনজনিত আশংকার কথা ভাবতে থাকি। বিভ্রান্ত এক শকুন আজকাল আমার মাথার ভেতর ঢুকে বসে ডানা ছড়িয়ে দিয়েছেদিচ্ছে। আমি ক্রিস্টালের স্বচ্ছতা দেখে ফেলে ভয় পাচ্ছি আর সলিউবল হয়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টায় আমার হাত পা থেকে শুরু করে মেরুদণ্ড অবদি ঝনঝন করে ভেঙে পড়ছেএই আতঙ্ক আমি কোনখানে জমা করব দিগন্ত? কোন টেস্টটিউবের ভেতর নির্ণীত হবে আমার দ্রবীভূত হয়ে যাওয়ার তাপমাত্রাকোন হ্যালুসিনেশন আমাদের পরাবাস্তবের দিকে নিয়ে যেতে পারেতার জন্য হন্যে হয়ে আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি গাঁজাহাসিসএল এস ডির পরবর্তী জেনারেশনের মাদক 
ধোঁয়া শুধু ধোঁয়ার ভেতর এই দিনরাত 
আমার আর আভূমিপ্রণত এই নিশীথিনীর 
পিঠে সওয়ারী হয়ে ওঠা হল না
কবে কোথায় কোনখানে সঠিক তুলোর থেকে উষ্ণতার সন্ধান পাবসেকথা তুমি কোনোদিন বলে দাওনি দিগন্ত। রডোডেনড্রন নিয়ে অথবা ওয়ার্ম কালারের প্রতি অতিদ্রব হয়ে ওঠার এই ফ্যান্টাসি আমার আর ফুরোবে না। রঙের দিকে যেতে যেতে প্রতিদিন বৃন্দগানের দিকে ঝুঁকে পড়ার এই প্রবণতালুব্রিকেশনের দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ আমার ক্যানভাসকে আর শুকিয়ে ওঠার সুযোগ দিচ্ছে না। জীবন-গুরাসের মধু জমতে জমতে একদিন চাক ভেঙে ছেতড়ে পড়বেএই বাস্তু- কুসুমে টোকা দিলেই ছিটকে বেরিয়ে আসছে বাদামি রঙের এক ঘোড়ার কংকাল 
এইখানে গান পেতে দিও
এই সাবুই ঘাসের বনে
তোমার ঘামের গন্ধ লেগে

এক চারণভূমি থেকে আরেক চারণভূমির দিকে যেতে আর কত পা হাঁটতে হবে দিগন্ত! আমি ফসিলের কাছ থেকে শিখে নিয়েছি টিকে থাকবার এক অলৌকিক প্রকরণ। অনবরত চালিয়ে যেতে থাকলে এই হাইড্রলিক প্রেসও একদিন আমাদের দীর্ঘ নিঃশ্বাসের মতো বাসি হয়ে পচে ফুলে ফেঁপে উঠবে। আর প্রাগৈতিহাসিক সেই নিয়ন আলোর হাসি ছড়িয়ে যাবে পূর্বাপর জুড়ে। উঁহুএভাবে ঢেলো নাস্প্রেড করে যাবেএ তো ব্লটিংপেপার নয়। এই সারফেস সবাক ছিদ্রে ভরা। আর এই বিবর্ণ ও ন্যাড়া অক্ষরগুলি দিয়ে কতখানি পাতাই বা ভরতে পারে বলো! 

No comments:

Post a Comment

এক ঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে