Monday, December 17, 2018

দেবাশিস চন্দর কবিতা




কবিতা
কবিতা কি লেখা যায়?
কবিতা তো হয়ে ওঠা,
শব্দের নিভৃত কারুভাঁজ,
সান্ধ্য ভ্রমণ অথবা সন্ন্যাস।

কবির মৃত্যু
কবির মৃত্যু মানে
      অচেনা বাঁক

কবির মৃত্যু মানে
   আরেক আরম্ভ

এই বাংলায়
এ গলি সে গলি ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত পদাতিক
গলিপ্রান্তে পড়ে আছে উচ্ছিষ্ট, ভাষাভাগাড়
এখানে এই বাংলায়
                   কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলে না   

শুঁয়োপোকা
ভালোবাসা মরে গেলে জেগে থাকে                                              
কিছু শুঁয়োপোকা, অহেতুক মেঘগর্জন

পরজন্ম
পরজন্ম বলে কিছু নেই, অলীক আকাশে কিছু মুখ
বহুরূপী সেজে সাঁতার কাটে, অন্ধকার শিড়দাঁড়া

পরবাস
স্নেহ ভালোবাসা এক পরবাসী চাঁদ
অকাল অমবস্যাদিগন্তে তুমি শরনার্থী
একের পর এক সীমানা পেরিয়ে চলেছো
এক টুকরো মাটির খোঁজে, অন্ন তো অলীক

বিষণ্ণ রূপকথা
স্মৃতি এক বিষণ্ণ রূপকথা, বড়াইল পাহাড় ডাকে,
বরাকের জল উঁকি মারে, অবহেলার সিঁড়ি ভাঙে,
গানের গুঞ্জনে, উল্টানো ফুটপাথে বট মাথা তোলে, 
যারা আমার কেড়েছে ঘর, তারা সুখমেঘে ভেসে যাক।    

শিউলিভোর
তোমার শৈশব জুড়ে শুধু আকাশকালো 
বোমার গর্জন, সমাধি, শ্মশান, লুকিয়ে থাকা
মাটির নিচে, পালিয়ে বেড়ানো, ভয় শুধু ভয়,
তুমি দ্যাখোনি কুয়াশা জড়ানো শিউলিভোর।

জোনাকির অভ্যর্থনা
আত্মহত্যার পথ বেছে নিল দিলীপ, সাকিন কাটলিছড়া,
তিন পুরুষের স্মৃতিদূয়ারে ভয়ের কড়া নাড়া, দুঃখসমাস,
তবুও স্বপ্নদিনলিপিতে মাথা তোলে সবুজ চারা, রঙঝরনা,
দিলীপেরা বারবার ফিরে আসে জোনাকির অভ্যর্থনায়।

No comments:

Post a Comment

এক ঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে