Monday, December 17, 2018

কবিতা তিলোত্তমা বসু




দৈববাণী বা ফর্মুলা

নামঝিঁঝিঁপোকা ডাক
পদবী  মেঘলা
উলুবন ঠিকানায়
আসে মাঝে মাঝে
নিজেকেই লেখা চিঠি  
ভাবনার

আঘাতের নানান বক্তব্য আজকাল
বুঝতে শিখছে আর
সেইসব ক্যালসিয়াম মজবুত করছে
তার হাড়

একদিন ডুয়ার্সে অরণ্যের ভিতরে
পথ হারিয়ে ফেলে সে
শুনে ফেলেছিল নিস্তব্ধতা---
গ্রহ -নক্ষত্রের ভাষা ....


নৈঋত আকাশে ভেসে উঠেছিল একদিন
দৈববাণী ---আশ্চর্য ফর্মুলা ---
ভালোবাসলেই আয়তন বৃদ্ধি পায় পৃথিবীর
ঈর্ষামাত্র হয় সঙ্কোচন

আস্তিক

বিশ্বাস করছি
যা যা দেখা যায় আর
যা দেখা যায় না...
হোরেশিও

দেখিনি কখনো আমি
পারিজাত
কখনো শুনিনি আমি
প্রেমিকের আকুল আহ্বান...

কিনতু শিব যে সতীর জন্যে
বুক চাপড়ে হাহাকার করেছিলেন
তা টের পাই ... যখন
কালবৈশাখী ঝড়,বজ্র ঝলসায়
বৃক্ষেরা নাচে তান্ডব ---
এইমতো গভীর দুর্যোগে
এ পাড়ার পাগল শঙ্কর
চন্দনা ... চন্দনা...
বলে ডাকতে ডাকতে
বুক চাপড়িয়ে কাঁদে

আমি তো বিশ্বাস করি
হোরেশিও
জন্মান্তরে একজন জাতিস্মর
আমাকে বলবে--
চিনতে পারছ, দেখা হয়েছিল
সন্ধে সাতটা নাগাদ,গতজন্মে
নন্দন চত্বরে....

2 comments:

  1. খুব ভালো গো। বিশেষত দ্বিতীয় কবিতাটা

    ReplyDelete

এক ঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে