Monday, December 17, 2018

কবিতা শুভশঙ্কর পাল





একটি জীবকোষ এবং চেয়ারটা



কিছুক্ষণের ঐশ্বরিক কামনার মুহূর্তটাতে,
শম্বুকন্যায় বিছানাটার মাঝে শুয়ে থাকা নিজেদেরকে
হঠাৎ করেই বিধাতা ভাবতে ইচ্ছা করে,
জঠরটা হয়ে ওঠে দশ মাশের স্বর্গ

শুক্রাণুটা সত্ত্বাটাকে বয়ে এনেছিল ডিম্বাণুর সয়ম্বরের জন্যে,
সম্ভোগসুখে তৈরি হল-
এক স্বয়ম্ভু শক্তির বাহক,
রা্সায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি হতে থাকা মাতৃত্বের স্বত্তা

জঠরে প্রদক্ষিণরত জীবকোষটা,
মাতৃত্বকে এনে দেয় ঈশ্বরের আস্বাদ,
গঠন প্রক্রিয়াটায় ফুটে উঠতে থাকে-
মানবিক বিবর্তনের কঠিন সব পদক্ষেপ

আজন্মকাল হতে চলে আসা মানুষের ভগবান হওয়ার ইচ্ছে,
মুহূর্তগুলো হয়ে থাকে জীবনের স্বর্গীয় কিছুক্ষণ ,
অক্ষমতার রাত্রিতেও সৃষ্টিসুখের আনন্দতাই-
অধিকর্তার  চেয়ারটা নিয়ে আজও দরকষাকষি চলতেই থাকে
                                                                                               

একরাশ অন্ধকার

এক ঝাঁক বারুদের গন্ধ,
পোড়া খোলকার্তুজ ,
সঙ্গে কিছু মৃত মানবতা ,
তবুও মুক্তিবাদিরা আজও দাবী করে
তাদের বিপ্লবের সাফল্য।

সাম্যবাদী সমাজের লক্ষে জন্ম নেওয়া লৌহ কাস্তে,
আজ বদলে গেছে  সঙ্গস্ক্রিয় অস্ত্রে,
গামছা মুখে কিছু মুক্তিযোদ্ধা,
ঝাণ্ডা গেড়ে দেয় মৃত গ্রামটাতে – “শান্তির জন্যে”

দায়িত্বজ্ঞানহীন নাগরিকের ফাঁকা  বিরুদ্ধাচরণ,
ডাই হয়ে থাকে কানবন্ধ বস্তাগুলিতে,
মোমবাতি গুলি রোজ জ্বলতে থাকে বাক্রুদ্ধ ভাষার অন্তরালে;
নিথর দেহগুলো উদ্দিপ্ত  করে দিয়ে যায়ে –
একটুকরো মানবতার স্পন্দন।



তাই, শুধু মাত্র মৌনতাই আজ – সাধারণের আন্দোলন।

2 comments:

  1. দারুন লাগল পড়ে। খুব গভীর চিন্তার ফসল। বাহবা ও শুভকামনা রইলো।

    ReplyDelete

এক ঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে